ভালো বন্ধুর প্রতি শা’রীরিক আকর্ষণ অনুভব করছেন? ৩টি কারণে শা’রীরিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত নয়…

আপনি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে সিনেমা দেখছেন। আপনারা মজা করছেন এবং পর্দায় মনোরম সিন চলছে। এক এক করে আপনারা এগোচ্ছেন আর তারপরেই আপনারা বুঝতে পারবেন দুইজনেই পরস্পরকে গভীরভাবে চুমু খাচ্ছেন।

আপনারা বুঝতে পারছেন সীমানা অতিক্রম করা কখনই উচিত নয়। কিন্তু তবুও আপনারা থামছেন না…আপনাদের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, আকর্ষণ, এবং আরামের বিচার করলে বন্ধুর সঙ্গে বেড শেয়ার করা দারুণ ব্যপার মনে হতেই পারে।

কিন্তু তারপরেও আপনার কী এটা করা উচিত?আমরা মনে করি বন্ধুত্বে সীমানা অতিক্রম করা একেবারেই উচিত নয় কারণ তার থেকে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই অতি যত্নে এবং গুরুত্ব সহকারে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা উচিত।এখানে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হল যেগুলো আপনার মানা উচিত।

বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শারীরিক সম্পর্কের পর বন্ধুত্ব এক রকম থাকে না। আপনারা দুজনেই পরস্পরের প্রেমে পড়া আটকাতে পারলেও বা আপনাদের ফিলিংস সংযত করতে পারলেও এই সময় আপনারা ফ্রেন্ডস-উইথ-বেনিফিটস পর্যায়ে পৌঁছে যান।

অথবা আপনাদের মধ্যে একজন আঘাত পেয়ে সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়।মনে করে দেখুন ‘হাম তুম’ সিনেমার কথা। এক রাতের শারীরিক সম্পর্ক বদলে দিয়েছিল রিয়ার প্রতি করণের দৃষ্টিভঙ্গি।

আপনি হয়তো তাকে ভালবেসে ফেলেন
…এবং হয়তো সে পাত্তা দেয় না। সুতরাং এর ফলে আপনি যে শুধুমাত্র একজন বন্ধুকে হারান তা নয় আপনার মনও ভেঙে যায়। আপনার মধ্যে হিংসা, পজেসিভনেস এসে যায়। এবং তারপর আপনি স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে পারছেন বন্ধুত্ব কীভাবে নষ্ট হয়।

যদিও আপনারা শোয়ার ব্যপারটার অস্বস্তি কাটিয়েও উঠতে পারেন, এই ধরণের ফিলিংস কিন্তু সম্পর্ক নষ্ট করেই। ঠিক যেমন হয়েছিল ‘ব্যান্ড, বাজা, বারাত’ সিনেমায়।

অন্য বন্ধুদের সঙ্গে তৈরি হবে দূরত্ব
সবসময়ই কিছু মানুষ বুঝতে পারবে আর কিছু মানুষ বুঝতে পারবে না। এতে কিছু হয়তো আসবে যাবে না, কিন্তু এর ফলে আপনার বাকী বন্ধুদের সঙ্গে আপনার দুরত্ব তৈরি হবে এবং আপনার তাদের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হবে।

বিশেষত আপনারা দুজন যদি একই বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরেন, বাকীরা কিন্তু আপনাদের থেকে দূরে চলেই যাবে, এর ফলে আপনার মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।সুতরাং আপনার মনে এই ধরণের চিন্তাভাবনা এলে আপনার কিন্তু পুনর্বিবেচনা করা উচিত।